জ্বালানি আমদানি, মজুত, সংরক্ষণের মতো বড় স্থাপনার নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি জ্বালানি বিভাগ এ বিষয়ে বৈঠক করেছে। বৈঠকে চলমান হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এসব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়।
সাধারণত ‘কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন’ বা কেপিআই স্থাপনায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু সম্প্রতি পেট্রোবাংলা, বিপিসি এবং বহুজাতিক তেল গ্যাস কোম্পানির স্থাপনার নিরাপত্তা নজরদারি করতে তিন জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জ্বালানি বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জানান, কেপিআই প্রকল্পগুলোর নিরাপত্তা একটি নীতিমালার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। কিন্তু এরপরও চলমান হরতাল-অবরোধের মধ্যে যাতে কোনোভাবে নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়, সে জন্য বৈঠক করা হয়েছে। ওই বৈঠকে তিন জন কর্মকর্তাকে বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিনের চিত্র সরকারের ঊর্ধ্বতনদের জানানোর নির্দেশ দিয়ে একটি আদেশও জারি করা হয়েছে।
নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি এবং সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো আন্দোলন করে আসছে। রাজধানী ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে। এমন পরিস্থিতির কারণে বিপিসির তরফ থেকে পেট্রোল পাম্পগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে পুলিশের পক্ষ থেকে খোলা বাজারে পেট্রোল বিক্রি না করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
কেপিআই নীতিমালায় বলা হয়েছে, কি পয়েন্ট ইনস্টলেশনের (কেপিআই) অর্থ হচ্ছে—স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত কোনও প্রতিষ্ঠান বা কারখানা বা জনস্বার্থে ব্যবহৃত স্থাপনা, যেগুলো জাতীয় অর্থনীতির দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ, যা ধ্বংসপ্রাপ্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশের যুদ্ধ কিংবা প্রতিরক্ষা সামর্থ্য বা জাতীয় অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
জানা গেছে, জ্বালানি বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ ফারুক হেসেনকে পেট্রোবাংলা ও এর আওতাধীন কোম্পানি, যুগ্ম সচিব একেএম মিজানুর রহমানকে বিপিসি এবং বিপিসির আওতাধীন কোম্পানি এবং পেট্রোবাংলার পরিচালক শাহিনুর রহমানকে আইওসির কেপিআইগুলোর নিরাপত্তা নজরদারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Published on: 2023-11-21 17:13:25.219079 +0100 CET