বণিক বার্তা
তদন্তের মুখে পড়তে যাচ্ছেন মাহাথির মোহাম্মদ

তদন্তের মুখে পড়তে যাচ্ছেন মাহাথির মোহাম্মদ

দুই ছেলে মিরজান ও মোখজানির বিরুদ্ধে দুর্নীতিসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তদন্তের মুখে পড়তে যাচ্ছেন মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। দেশটির অ্যান্টি করাপশন কমিশনের (এমএসিসি) প্রধান আজম বাকি গতকাল এ তথ্য জানান। খবর রয়টার্স। তদন্তটি এমন এক সময়ে হতে যাচ্ছে যখন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন মাহাথির মোহাম্মদের একসময়ের দীর্ঘকালীন রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী আনোয়ার ইব্রাহিম। দেশটিতে এখন মাহাথির মোহাম্মদের ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তদন্ত চলছে। যদিও রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তদন্তের অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। তার ভাষ্যমতে, প্রভাবশালীদের দুর্নীতি বন্ধে সরকারের পদক্ষেপের অংশ হিসেবেই এসব তদন্ত পরিচালিত হচ্ছে। এর আগে গত জানুয়ারিতে এমএসিসির পক্ষ থেকে মাহাথির মোহাম্মদের দুই ছেলে মিরজান ও মোখজানির কাছে তাদের সম্পদের বিবরণ চেয়ে চিঠি দেয়া হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে তাদের অফশোর লেনদেন ও ব্যবসা নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ওই তথ্য চাওয়া হয়। তবে মাহাথির মোহাম্মদ অথবা তার ছেলেদের বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি এমএসিসির প্রধান কমিশনার আজম বাকি। সাংবাদিকদের গতকাল তিনি বলেন, ‘তদন্ত শেষ হতে দিন। উপযুক্ত সময় এলেই আমরা মামলার পর্যবেক্ষণ জানাব।’ এ বিষয়ে মাহাথির মোহাম্মদের কার্যালয় থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে এর আগে ৯৮ বছর বয়সী প্রবীণ এ নেতা তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে তদন্তকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। মাহাথির মোহাম্মদ দুই দফায় প্রায় ২৪ বছর  (প্রথম দফায় ১৯৮১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় দফায় ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত) মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে এক সময়ে তার ঘনিষ্ঠতা থাকলেও পরে তাদের মধ্যে তীব্র বৈরিতা দেখা দেয়। আনোয়ার ইব্রাহিম মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হন ২০২২ সালে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার এবং দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়নে মনোযোগ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। তবে তার নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোটের নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহারের কারণে তার সংস্কার প্রতিশ্রুতি নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে কিছু বিতর্ক দেখা দিয়েছে। যদিও আনোয়ার ইব্রাহিমের দাবি, তিনি কখনই আদালতের রায়ের বিষয়ে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করেন না।
Published on: 2024-04-25 23:01:49.930852 +0200 CEST