দেশ রূপান্তর
মুক্তির পর এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের মালিক পক্ষকে যে বার্তা দিল দস্যুরা

মুক্তির পর এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের মালিক পক্ষকে যে বার্তা দিল দস্যুরা

৩১ দিন পর সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মুক্তি পেয়েছে। বাংলাদেশ সময় গতকাল শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টার দিকে তারা মুক্তি পায় বলে জানিয়েছে জাহাজের মালিক পক্ষ। মুক্তির পর জাহাজের মালিক পক্ষকে একটা চিঠি দেয় দস্যুরা। আজ রবিবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে এক সংবাদ সম্মলেন এই তথ্য জানান জাহাজটির মালিক পক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত। তিনি জানান, রাত ৩টার দিকে দস্যুরা মুক্তি দেয় নাবিকদের। এরপর ৬৫ জন দস্যুরা ৯টি বোটে চলে যায় নিজ গন্তব্যে। পরে নাবিকরা পাশে টহলে থাকা ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি জাহাজের কাছে সহযোগিতা চায়। পরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জাহাজের পাহারায় নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ দুবাই পোর্টের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। শাহরিয়ার জাহান রাহাত আরও জানান, নাবিকদের মুক্তির পর দস্যুরা একটা চিঠি দিয়েছে। সেখানে তারা বলেছে নাবিকদের মুক্ত করা হলো। এমভি আবদুল্লাহ যাবে দুবাইয়ে পোর্টে। সেখান পর্যন্ত যেতে মাঝ রাস্তায় আর কেউ এমভি আবদুল্লাহকে ডিস্টার্ব করবে না। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক করিম উদ্দিন, সরওয়ার জাহান রোকন, প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম, গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম প্রমুখ। এর আগে দেশ রূপান্তরকে কেএসআরএমের প্রধান নির্বাহী ক্যাপ্টেন মেহেরুল করিম জানান, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি দুবাই পৌঁছাতে ৬ থেকে ৭ দিন লাগতে পারে। দুবাই পৌছার পর জাহাজে থাকা ৫৫ হাজার টন কয়লা খালাস করা হবে। আর মাল খালাসের পর জাহাজটি চট্টগ্রামে চলে আসতে পারে। তখন জিম্মি অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া ২৩ নাবিক চাইলে জাহাজ চালিয়ে চট্টগ্রামে আসতে পারে অথবা তারা যদি বিমানে করে দুবাই থেকে চট্টগ্রামে আসতে চায় সেই সুযোগও দেয়া হবে। এসবের সবই নির্ভর করছে নাবিকদের ইচ্ছের উপর।
Published on: 2024-04-14 10:12:38.243191 +0200 CEST