ইত্তেফাক
অবশেষে কারামুক্ত খাদিজা

অবশেষে কারামুক্ত খাদিজা

*ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন পাওয়ার পরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজা।* দীর্ঘ প্রায় ১৫ মাস পর সোমবার (২০ নভেম্বর) তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। এর আগে গত ১৬ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে খাদিজাকে জামিনের আদেশ প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ। কাশিমপুর মহিলা কারাগারের ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র সুপার মো. শাহজাহান মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, জামিনের কাগজপত্র কারাগারে আসার পর যাচাই-বাছাই করে খাদিজাকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু পরিবারের কোনো স্বজন না আসায় তিনি কারাগার থেকে বের হতে চাচ্ছিলেন না। পরে তার বোন আসলে সকাল ৯টার দিকে তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। আদালত ও আইনজীবী সূত্র জানায়, বিচারিক আদালতে দুইবার খাদিজার জামিন আবেদন নাকচ হয়। পরে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন তিনি। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তার জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়। অন্যদিকে চেম্বার আদালতের দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে খাদিজা আবেদন করেন, যা রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের সঙ্গে গত ১০ জুলাই আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন আপিল বিভাগ আবেদন শুনানি চার মাসের জন্য মুলতবি করেন। ফলে এই সময় পর্যন্ত খাদিজার জামিন স্থগিতই থাকে। আগের ধারাবাহিকতায় খাদিজার জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল ১৬ নভেম্বর আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ওঠে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম শুনানি করেন। খাদিজার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী বি এম ইলিয়াস ও জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। খাদিজা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচারসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়। একটি মামলা হয় রাজধানীর কলাবাগান থানায়, অন্যটি নিউমার্কেট থানায়। দুটি মামলার বাদীই পুলিশ। গত বছরের মে মাসে দুই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এই অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গত বছরের ২৭ আগস্ট মিরপুরের বাসা থেকে খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে নিউমার্কেট থানার পুলিশ। তখন থেকে কারাগারে রয়েছেন তিনি। আর দেলোয়ার বিদেশে পলাতক রয়েছেন।
Published on: 2023-11-20 07:10:10.275189 +0100 CET

------------ Previous News ------------