গত কয়েক দিনের ভারী ও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে নিম্ন আয়ের মানুষের বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার বিভিন্ন বাজারগুলোতে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট বসিয়ে ইচ্ছামাফিক মুল্যে সবজি বিক্রি করছে।
সরকারের বেঁধে দেয়া আলু, পেয়াজ এখন ধরাছোঁয়ার বাইরে। বাজারগুলোতে আলু ৩৬ টাকার স্থানে ৪৫ টাকা, পেয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সরকারের তদারকি অফিসার বা কমিটির কোনো নজরদারি নেই।
কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ২৪০ টাকা, কাঁকরোল ৬০, বডবডি ৬০, পেপে ৪০, কাচা কলা হালি ৪০, মিস্টি লাউ ১৪০, বাঁধাকপি ৭০, ওল ৭০, পটল ৬০, করলা ৭০, লাউ ৫০, কোমড়া ৫০, বেগুন ৬০, কচুর লতা ১০০, আদা ৭০০, শুকনা মরিচ ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভাত জুটলেও তরকারি জোটানো কঠিন। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ভ্যানচালক, শ্রমজীবি মানুষের বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে।
বাজার মনিটরিং করার কোনো খবর নেই। ইচ্ছামতো চলছে বাজারগুলো। গতকাল শুক্রবার শহরের কাঁচাবাজার করতে আসা আব্দুল মতিন, আলিছলাম ও সাইফুল ইসলাম বলেন, যেভাবে ব্যবসায়ীরা জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে তাতে কিভাবে সংসার চালাবো।
ব্যবসায়ীরা বৃষ্টির অজুহাত দেখিয়ে কাঁচা তরকারির দাম বাড়াচ্ছে। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছে মহাবিপদে। প্রশাসন তদারকি করলে মনে হয় ভালো হতো।
ঝিনাইগাতী উপজেলার এক প্রবীন সাংবাদিক এম. মোকাদ্দেস আলী বলেন, সরকারের বাজার মনিটরিংয়ের দায়িত্বে যারা আছেন তাদেন কোনো নড়াচড়া না থাকার কারণে বাজারগুলোতে ইচ্ছামাফিক বিক্রি হচ্ছে। এগুলো নিয়ন্ত্রণে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. ফারক আল মাসুদ বলেন, বাজারে তদারকি করা হচ্ছে। প্রত্যেক ব্যবসায়ীদের প্রতিটি পণ্যের ক্রয়কৃত মেমো দেখাতে বলা হয়েছে। মেমো দেখাতে না পারলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Published on: 2023-10-07 12:28:26.422341 +0200 CEST
------------ Previous News ------------