দৈনিক জনকণ্ঠ
দাবদাহে পুড়ছে দেশ

দাবদাহে পুড়ছে দেশ

রেকর্ডের পর রেকর্ড ভাঙছে এবার তাপমাত্রা। দেশের প্রায় সব অঞ্চলের ওপর দিয়ে বইছে তীব্র থেকে মাঝারি ধরনের দাবদাহ। গরমে পুড়ছে দেশ। একটানা তীব্র তাপদাহে সোমবার পাবনা জেলার ঈশ্বরদীর পারদ উঠেছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এটা ঈশ্বরদীর স্মরণকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাই নয়, চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এদিন মৌসুমের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে রাজশাহীতে ৪২ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি শুধু এবারেরই নয়, গত নয় বছরের মধ্যে রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে ২০১৪ সালে রাজশাহীতে এই তাপমাত্রা উঠেছিল। চুয়াডাঙ্গায়ও গত ১৫ দিন ধরে উচ্চ তাপমাত্রা চলছে। দুর্বিষহ এই উত্তাপের মধ্যে সোমবারও চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা গত নয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে ঢাকায় কমেছে দাবদাহের দাপট। রাজধানীর আকাশে অবশেষে দেখা মিলেছে মেঘের মেলার। ভারত থেকে সিলেট, ময়মনসিংহ ও রংপুর দিয়ে ওই মেঘ বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। রাজধানীর আকাশে ভাসছে দূর থেকে আসা মেঘ। ভাসতে থাকা মেঘের কারণে গত ১০ দিন পর রাজধানীর তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। একদিনে ঢাকার তাপমাত্রার দুই ডিগ্রির বেশি কমেছে। তাপমাত্রা কমলেও বাতাসের আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে ভ্যাপসা গরমের অস্বস্তি। সোমবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ঢাকার তাপমাত্রা রবিবারের তুলনায় এক লাফে প্রায় দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে। সোমবার বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা রবিবার একই সময়ে ছিল ৪০ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যার পরও তাপমাত্রা আগের দিনের তুলনায় কম থাকার কথা জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, সকাল থেকে দ্রুত মেঘের পরিমাণ বাড়তে শুরু করেছে। মেঘের আনাগোনা আরও বাড়তে পারে। তবে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত এই দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক জানান, দু’দিনের মধ্যে তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে আর্দ্রতা বাড়তে থাকবে। তাতে শরীরে ঘাম হবে। তাপমাত্রা কমলেও গরমের অস্বস্তি বাড়বে বেশি। ১৯-২০ এপ্রিলের দিকে হাল্কা বৃষ্টির আভাস রয়েছে। আগামী সপ্তাহে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে। কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, এমন গরম থাকবে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত। ২১ এপ্রিল মধ্যরাতের পর থেকে প্রায় প্রতিদিন সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের মেঘালয় পর্বত-সংলগ্ন জেলাগুলোতে বজ্রপাতসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২৩ এপ্রিল থেকে তিন মে পর্যন্ত দেশব্যাপী শক্তিশালী কালবৈশাখী, তীব্র বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা নির্দেশ করছে আবহাওয়ার পূর্বাভাস মডেলগুলো। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বলেন, ঢাকার তাপমাত্রা দ্রুত কমতে শুরু করেছে। তবে আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় গরমের অনুভূতি খুব একটা কমবে না। আকাশে মেঘ ও আর্দ্রতা বেড়ে গিয়ে ঘাম বেড়ে যেতে পারে। তাই বেশি সময় রোদের মধ্যে না থাকাসহ দাবদাহের সময় যেসব পরামর্শ মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে, তা মানতে হবে। আগামী দু’এক দিন তাপমাত্রা কমলেও দাবদাহ রয়ে যাবে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে কোনো এলাকার তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছলে সেখানে দাবদাহ চলছে বলে ধরে নেওয়া হয়। কোনো এলাকার তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রির নিচে হলে তা মৃদু দাবদাহ, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি হলে মাঝারি দাবদাহ ও ৪০ ডিগ্রির ওপরে উঠলে তা তীব্র দাবদাহ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। সেই হিসাবে ঢাকায় এখন মৃদু দাবদাহ বইছে। তাপমাত্রা কমলেও দাবদাহ সোমবার ও মঙ্গবার অব্যাহত থাকতে পারে। তবে তাপমাত্রা কমলেও বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাপ অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। দুপুর ১২টায় রাজধানীর বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাপ ছিল ৪৮ শতাংশ, যা রবিবারের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। রবিবার একই সময়ে আর্দ্রতার পরিমাপ ছিল ২৩ শতাংশ। ফলে তাপমাত্রা কমলেও গরমের অস্বস্তি খুব একটা কমেনি। বরং রাজধানীবাসীর মধ্যে ঘাম বেড়ে গিয়ে কষ্ট বেড়েছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সোমবারে দিনের মতো রাতের বেলাও ঘাম বাড়তে থাকবে। কারণ, দিনের বাকি সময়জুড়ে বাতাসে আর্দ্রতা বাড়তে পারে। এমনকি রাতে আর্দ্রতা আরও বাড়তে পারে। এতে রাতের তাপমাত্রা রবিবারের তুলনায় আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। ফলে, দিন ও রাতে দুই সময়ে ঘাম, অস্বস্তি ও ভ্যাপসা গরম বাড়তে পারে। ঈশ্বরদীতে রেকর্ড ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা ॥ চলতি মৌসুমে রেকর্ডের পর রেকর্ড ভাঙছে এবার তাপমাত্রা। একটানা তীব্র তাপদাহে সোমবার পাবনা জেলার ঈশ্বরদীর পারদ উঠেছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এটা ঈশ্বরদীর স্মরণকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাই নয়, চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। রাজশাহীতে ৪২.৬ ডিগ্রি ॥ স্টাফ রিপোর্টার জানান, রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এবার ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। সোমবার বেলা ৩টায় রাজশাহীতে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। এর আগে ২০০৫ সালের ১২ জুন রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সিলসিয়াস। আর ২০১৪ সালের  ২১ মে একই তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৪২.০৬। আট বছর ১০ মাস ২৭ দিন পর আবার একই তাপমাত্রা রেকর্ড হলো। চুয়াডাঙ্গায় ৪২.৫॥  নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, টানা ১৬ দিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এই জেলায়। গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয় শনিবার। এদিন বিকেল তিনটায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে সারাদেশেই  সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল এটি। তবে সোমবার সকাল নয়টায় ৩১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করলেও দুপুর দেড়টায় বেড়ে ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রিতে তাপমাত্রার পারদ উঠে আসে। এরপর বিকেল তিনটায় তাপমাত্রা আরও বেড়ে ৪২ দশমিক পাঁচ ডিগ্রির সঙ্গে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৮ শতাংশ। যা এ মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। চট্টগ্রাম ॥ স্টাফ রিপোর্টার জানান, চট্টগ্রামে বেড়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং ও পানির সংকট। রাত-দিন বিরামহীন লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন। এমন গরমের মধ্যে ওয়াসার পানি সরবরাহ কমে যাওয়ায় শহরের অধিকাংশ এলাকায় পানি সংকট। জ্বালানি তেলের অভাবে ২৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে ১৩টি বন্ধ, যার ফলে সংকটে দুর্বিষহ জনজীবন। চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, চার প্রকল্প ও গভীর নলকূপ মিলে পানি পরিশোধন ক্ষমতা ৫০  কোটি লিটার। এরমধ্যে  শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার ১ ও ২ থেকে দৈনিক ১৪ কোটি লিটার করে মোট ২৮ কোটি লিটার পানি আসে। আর মোহরা ও শেখ রাসেল পানি শোধনাগারের সক্ষমতা নয় কোটি লিটার করে মোট ১৮ কোটি লিটার এবং নগরজুড়ে থাকা ৫০টি গভীর নলকূপ থেকে আসে ৪ কোটি লিটার পানি। তবে বর্তমানে পানির লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়া এবং তীব্র দাবদাহের কারণে পানির সক্ষমতা অনুযায়ী দৈনিক পানি পরিশোধন করতে ব্যর্থ হচ্ছে ওয়াসা। ফলে এখন ৩৮ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করছে সংস্থাটি। এছাড়া কাপ্তাই বাঁধ থেকে পানি কম ছাড়ায় উৎপাদন কমেছে। শুষ্ক মৌসুম হওয়ায় এখন রেশনিং করছে ওয়াসা। বিশেষ করে লোডশেডিংয়ের কারণে সব সময় নলকূপ থেকে পানি উত্তোলন করা যাচ্ছে না। এ কারণে এবার তীব্র দাবদাহে বিভিন্ন এলাকার গ্রাহকদের পানির সংকট মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে। বাগেরহাট ॥ স্টাফ রিপোর্টার জানান, বৈশাখের খরতাপে পুড়ছে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাট। এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। দাবদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সর্বস্তরের মানুষ হাঁসফাঁস করছে। পানি অত্যধিক গরম হয়ে চিংড়ি ঘেরের মাছ মরে যাচ্ছে। হিটস্ট্রোকে ১ জনের মৃত্যু ॥ নীলফামারীতে তাপমাত্রার দাপটে হিটস্ট্রোকে এক জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ জানায়, সোমবার বিকেল চারটার দিকে জেলা শহরের আনছার ক্যাম্পের সামনের সড়কের ধারে বন্ধ থাকা একটি চায়ের দোকান থেকে সনাতন রায় (৩৫) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি শহরের মানিকের মোড় এলাকায় নাসির বিড়ি কোম্পানি সংলগ্ন ইটাখোলা গ্রামের মৃত ভবানী প্রসাদ রায়ের ছেলে এবং পেশায় মুড়ি ব্যবসায়ী ছিলেন। এ সময় লাশের পাশে পড়ে থাকা তার ব্যবহৃত একটি বাইসাইকেল ও মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়। বিরূপ আবহাওয়ায় হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে সনাতন রায়ের মৃত্যু হওয়ার ধারণা করছে পুলিশ। কটিয়াদী ॥  নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে চলমান তাপদাহ ও পল্লী বিদ্যুতের লাগামহীন লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে অতি তাপমাত্রায় অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু ও বয়স্ক লোকজন। উপজেলায় চলমান ১০ দিন ধরে লোডশেডিং এর প্রতিবাদে সোমবার কটিয়াদী পৌর মেয়র মো. শওকত উসমানের নেতৃত্বে পৌরসভার কাউন্সিলর, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কটিয়াদী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে বিদ্যুৎ এর চলমান দীর্ঘ লোডশেডিং স্বাভাবিক পর্যায়ে রাখার জন্য সাক্ষাৎ করেছেন। লালপুর ॥  নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, নাটোরের লালপুরে ঘন ঘন বৈদ্যুতিক লোডশেডিং ও তাপদাহের ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। ফলে গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে কমলমতি শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ। বৈদ্যুতিক লোডশেডিং ও তাপদাহের ভ্যপসা গরমের কারণে শিক্ষার্থীরা বাড়িতে লেখাপড়ায় অমনোযাগী হয়ে পড়ছে। এছাড়া বিভিন্ন বয়সের মানুষের শরীরের ঘাম ঝরে পানি শূন্যতা দেখা দিয়েছে। ফলে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা। চাটখিল ॥  নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চাটখিল সাব স্টেশন-১ ও ৩ চাহিদার ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। ফলে দুই স্টেশনের ১০টি ফিডারের মধ্যে ইচ্ছাকৃতই ৪টি ফিডার বন্ধ রাখতে হয়। এতে করে প্রতিটি ফিডার গড়ে ৬/৭ ঘণ্টা বন্ধ থাকে। অব্যাহত গরম আর দীর্ঘ লোডশেডিংয়ের ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রমজান মাসে তুলনামূলক বিদ্যুৎ বেশি ব্যবহার করার প্রয়োজন হলেও এই এলাকার মানুষ প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। মাগুরা ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, মাগুরায় প্রচ- গরম ও তাপদাহ অব্যাহত রয়েছে। বৃষ্টির জন্য হাহাকার লেগেছে। ফলে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সেখানে দেখা দিয়েছে গরমবাহিত নানা রোগ ব্যধি ও পাতলা পায়খানা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের তাপদাহ বৃদ্ধির ফলে শহর অনেকটা ফাঁকা হয়ে পড়ে। গরমের কারণে বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না অনেকে। পৌরসভা থেকে শহরে পানি ছিটানো হচ্ছে। গরম ও তাপদাহ জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। শ্রমজীবী মানুষ বিপাকে পড়েছে। গরমে শিশু ও বৃদ্ধরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। পাতলাপায়খানাসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। ডাব, আখের রস ও শরবতের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যাচ্ছে। সন্ধ্যার পর ঈদের বাজারে ক্রেতাদের সংখ্যা বাড়ছে। শরীয়তপুর ॥  নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, জেলায় ১৪ ঘণ্টায় ৮/১০  বার লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। প্রচ- তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাদের ভোগান্তি বাড়িয়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। সোমবার দুপুর পর্যন্ত জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ ডিগ্রি।
Published on: 2023-04-17 19:50:31.424657 +0200 CEST