দৈনিক জনকণ্ঠ
স্বপ্নে সংযোগে অগ্রযাত্রা

স্বপ্নে সংযোগে অগ্রযাত্রা

উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশও  প্রবেশ করল নতুন এক উড়াল সড়কের জগতে। এই সড়কে নেই কোনো ট্রাফিক সিগন্যাল। থাকবে না কোনো গতিরোধক। বিরতিহীনভাবে চলবে গাড়ি। প্রতিটি গাড়ি চলবে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার গতিতে। এই সড়ক ব্যবহার করে মাত্র ১০ থেকে ১২ মিনিটে সাড়ে ১১ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করা যাবে। ‘স্বপ্নে সংযোগে অগ্রযাত্রা’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করল ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এর মাধ্যমেই বাংলাদেশ  এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের জগতে প্রবেশ করল। যা বর্তমান সরকারের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় আরেকটি মাইলফলক। এর মাধ্যমে রাজধানীর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্মোচিত হলো নতুন দিগন্ত। শনিবার বিকেলে রাজধানীর উত্তরা বিমানবন্দরের কাওলায় দেশের সবচেয়ে বড় এই উড়াল সড়ক আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকেল তিনটা ৪২ মিনিটে কাওলা প্রান্তরে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন ফলক উন্মোচন করেন তিনি। প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাওলা প্রান্তের টোল প্লাজায় গাড়িপ্রতি ৮০ টাকা করে টোল দিয়ে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ফলক উন্মোচন মঞ্চে যান। সেখানে রাখা বোতাম চেপে উড়াল সড়কটির উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর মোনাজাতে অংশ নেন। উদ্বোধন শেষে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নানা দিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্রিফ করা হয়। এরপর গাড়িবহর নিয়ে প্রথম যাত্রী হিসেবে দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে পুরনো বাণিজ্যমেলার মাঠে সুধী সমাবেশস্থলের উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। উড়াল সড়কটি অতিক্রম করতে মাত্র ১৫ মিনিট সময় লাগে তার গাড়ি বহরের। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সেতু সচিব মনজুর হোসেন এবং প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার প্রমুখ। পরে পুরনো বাণিজ্য মেলার মাঠে সুধী সমাবেশস্থলেও প্রধানমন্ত্রী আরেকটি উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন এবং দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় তার সঙ্গে বোন শেখ রেহানা, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও শেখ ফজলে নূর তাপস, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান উপস্থিত ছিলেন। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা হাফেজ মুহিবুল্লাহিল বাকী মোনাজাত পরিচালনা করেন। পরে সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। সুধী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ রবিবার ভোর ছয়টা থেকে যানচলাচল শুরু হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত মাত্র ১০ থেকে ১২ মিনিটে যাতায়াত করা যাবে এই উড়াল সড়ক পথে। আশা করা হচ্ছে, নগর যোগাযোগ ব্যবস্থায় এটি দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব করবে, স্বপ্ন পূরণ হবে দুর্ভোগহীন রাজপথের। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর এলাকার কাওলা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দূরত্বের এই এক্সপ্রেসওয়ের আপাতত প্রথম অংশ কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যানচলাচল করবে। উদ্বোধন উপলক্ষে বিমানবন্দর কাওলা এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে ঘিরে নেওয়া হয় ব্যাপক প্রস্তুতি। উড়াল সড়কে ওড়ানো হয় রঙিন পতাকা। নিচের সড়কের পাশে লাগানো হয় বিভিন্ন ব্যানার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ছিলেন সতর্ক অবস্থানে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েকে ঘিরে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা গেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। উড়াল সড়ক ঢাকাবাসীর নতুন উপহার ॥ দ্রুতগতির উড়াল সড়ক ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েকে রাজধানীবাসীর জন্য নতুন উপহার হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর ফলে রাজধানীর যানজট কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। শনিবার বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলানগরে পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজধানীর সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের একটি নতুন উপহার আজকে আপনাদের জন্য দিয়ে যাচ্ছি। যেটি যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি নতুন মাইলফলক। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাওলার দক্ষিণ প্রান্ত থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন করা হয়েছে। আপনাদের জন্য এই উপহার দিচ্ছি। এটি ঢাকার যানজট নিরসনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এর মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্রুত উন্নতি হবে। মানুষের কর্মঘণ্টা নষ্ট হবে না। সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই প্রকল্পের উদ্বোধক, ডিজাইনার, রুট এলাইনমেন্ট সবকিছুই একজন পলিটিশিয়ান করতে পারেন। যেখানে যে সমস্যা ছিল, তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) সমাধান করে দিয়েছেন, এখনো করছেন। বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানা আমরা তাকে স্বাগত জানাই। তিনি মেট্রোরেলের উদ্বোধনে ছিলেন, আজকেও আছেন। দুই বোন এক সঙ্গে বসে আছে, কত ভালো লাগছে। এই দুই বোন বঙ্গবন্ধুর সম্পদ। আমরা থাকব না। শেখ হাসিনা থাকবে না। কিন্তু বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের মানুষ কখনো ভুলবে না।’ আজ থেকে উড়াল সড়কে চলবে গাড়ি ॥ আজ রবিবার ভোর ছয়টা থেকে যানচলাচল শুরু হবে। বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ১০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ফার্মগেট আসতে সময় লাগবে ১০ মিনিট। এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা থাকবে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। উড়ার সড়কে র‌্যাম্পে গাড়ির গতি থাকবে ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। সড়কটিতে পাড়ি দিতে সাধারণ যাত্রীদের আগে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা সময় নষ্ট হতো। এখন থেকে সেটি আর হবে না। উত্তরার কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১৫টি সংযোগ সড়ক থাকলেও দুটির কাজ শেষ না হওয়ায় তেরোটি সংযোগ সড়ক দিয়ে যান চলাচল করবে। এক্সপ্রেসওয়ের ওপর দিয়ে থ্রি-হুইলার, মোটরসাইকেল বাইসাইকেল, পথচারীরা চলাচল করতে পারবে না। চার চাকা বা এর অধিক চাকার যান ছাড়া এ সড়কে অন্য কোনো যান চলাচল করতে পারবে না। কোথাও থেমে ছবিও তোলা যাবে না। চার ক্যাটাগরিতে (শ্রেণি) টোল আদায় হবে এ উড়াল সড়ক থেকে। এর জন্য কয়েকটি ক্যাটাগরি করা হয়েছে। ক্যাটাগরি-১ : কার, ট্যাক্সি, জিপ, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল, মাইক্রোবাস (১৬ সিটের কম) ও হালকা ট্রাকের (তিন টনের কম) টোল ৮০ টাকা। ক্যাটাগরি-২ : মাঝারি ট্রাক (ছয় চাকা পর্যন্ত) ৩২০ টাকা; ক্যাটাগরি-৩ : ট্রাক (ছয় চাকার বেশি) ৪০০ টাকা, ক্যাটাগরি-৪ : সব ধরনের বাসের (১৬ সিট বা তার বেশি) টোল ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সেতু বিভাগের সচিব মনজুর হোসেন বলেন, ঢাকা শহরের যানজট নিরসনসহ ভ্রমণে সময় ও ব্যয় সাশ্রয়ের লক্ষ্যে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। প্রকল্পটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিক দেশের বৃহত্তম প্রকল্প। প্রকল্পটি ঢাকা শহরের উত্তর-দক্ষিণ করিডরের সড়ক পথের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এছাড়াও প্রকল্পটি ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে সংযুক্ত হলে ঢাকা ইপিজেড ও উত্তরবঙ্গের সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের যোগাযোগ সহজতর হবে। এতে করে ঢাকা শহরের যানজট নিরসনের পাশাপাশি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে। রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নকল্পে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণেও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পটি অনবদ্য ভূমিকা রাখবে।’ বরিবার সকাল ছয়টা থেকে এই উড়াল সড়কে গাড়ি চলাচল শুরু হবে বলে জানান তিনি। মনজুর হোসেন বলেন, ‘ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প ২৩ আগস্ট ২০১০ সালে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদিত হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ হতে বিনিয়োগকারী নির্বাচনের লক্ষ্যে উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেডকে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯ জানুয়ারি ২০১১ তারিখে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩০ এপ্রিল ২০১১ তারিখে প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।’ এই প্রকল্পের কাওলা থেকে ফার্মগেট অংশটি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’ কাওলা-ফার্মগেট পর্যন্ত ১৫টি র‌্যাম্প ॥ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশ যান চলাচলে জন্য প্রস্তুত হয়েছে এ প্রকল্পের। এ অংশের মেইন লাইনের দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক পাঁচ কিলোমিটার ও র‌্যাম্পের দৈর্ঘ্য ১১ কিলোমিটার। র‌্যাম্পসহ মোট দৈর্ঘ্য ২২ দশমিক পাঁচ কিলোমিটার। এ অংশে ওঠা নামার জন্য মোট ১৫টি র‌্যাম্প থাকবে। এর মধ্যে এয়ারপোর্টে দুটি, কুড়িলে তিনটি, বনানীতে চারটি, মহাখালীতে তিনটি, বিজয় সরণিতে দুটি ও ফার্মগেটে একটি। এর মধ্যে ১৩টি র‌্যাম্প যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। উত্তর হতে দক্ষিণ অভিমুখী যানবাহন উঠবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা; প্রগতি সরণি ও বিমানবন্দর সড়কের আর্মি গলফ ক্লাব হতে। নামবে বনানী কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ; মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে; ফার্মগেট প্রান্তে ইন্দিরা রোডের পাশে। দক্ষিণ হতে উত্তর অভিমুখী যানবাহন উঠবে বিজয় সরণি ওভারপাসের উত্তর এবং দক্ষিণ লেন; বনানী রেলস্টেশনের সামনে থেকে। নামবে মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে; বনানী কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ের সামনে বিমানবন্দর সড়ক, কুড়িল বিশ্বরোড ও বিমানবন্দর ৩য় টার্মিনালের সামনে। তবে মহাখালীতে একটি ওঠার র‌্যাম্প ও বনানীতে সড়ক ভবনের পাশের ওঠার র‌্যাম্প আপাতত বন্ধ থাকছে। পুরো প্রকল্প শেষ হবে ২০২৪ সালে ॥ প্রকল্প সূত্র জানায়, রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দক্ষিণে কাওলা-কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী-ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক (কুতুবখালী) পর্যন্ত উড়াল সড়কটি নির্মাণ করা হচ্ছে। মূল উড়াল সড়কের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। তবে সড়কে ওঠানামার জন্য ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি র‌্যাম্প নির্মাণ করা হচ্ছে। র‌্যাম্পসহ প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে আট হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৭৩ শতাংশ অর্থ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ও ২৭ শতাংশ সরকারী ফান্ড থেকে ব্যয় হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসনে এই অর্থ ব্যয় হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা শহরের যানজট অনেকাংশে কমে যাবে এবং ভ্রমণের সময় ও খরচ হ্রাস পাবে। ঢাকা শহরের উত্তর-দক্ষিণ অংশের সংযোগ ও ট্রাফিক ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। উত্তর ও দক্ষিণ গেটওয়ের সংযোগ উন্নত হবে। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি)’র মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সেতু কর্তৃপক্ষ। ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেড এ প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে। এর মধ্যে ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেডের ৫১ শতাংশ, চায়না শানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপের (সিএসআই) ৩৪ শতাংশ এবং সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের ১৫ শতাংশ শেয়ার নিয়ে গঠিত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সার্বিকভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিকায়ন ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা জানান। এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম শাখাওয়াত আকতার জনকণ্ঠকে বলেন, ‘তিনটি অংশে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি। এর মধ্যে প্রথম অংশ: বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে বনানী রেলস্টেশন পর্যন্ত মোট দৈর্ঘ্য সাত দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। দ্বিতীয় অংশ: বনানী রেলস্টেশন থেকে মগবাজার পর্যন্ত পাঁচ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার। তৃতীয় অংশ: মগবাজার-যাত্রাবাড়ীর হয়ে কুতুবখালী পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ছয় দশমিক ৬৩ কিলোমিটার। সার্বিকভাবে এ পর্যন্ত প্রকল্পের ৬৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।’
Published on: 2023-09-02 19:32:55.434372 +0200 CEST