যায়যায়দিন
অগ্নিসন্ত্রাসের মামলাগুলো দ্রুত শেষ করুন : প্রধানমন্ত্রী

অগ্নিসন্ত্রাসের মামলাগুলো দ্রুত শেষ করুন : প্রধানমন্ত্রী

*প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতার হাত ধরে বাংলাদেশের বিচারকাঠামো গঠিত হয়েছে। মানবাধিকার, ন্যায়বিচার, কৃষি, শিল্প, স্বাস্থ্য সবকিছু তিনি করে গেছেন। সমুদ্রসীমা বাড়ানোর ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিলেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও তিনি শুরু করেছেন।* শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আইনজীবী মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। আইনজীবী মহাসমাবেশে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আইনজীবীদের কাছে দাবি রেখে বলেন, ‘আর্থিক স্বচ্ছলতা আসলে আস্তে আস্তে করে দেব। তবে একটা শর্ত আছে, অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে যারা জড়িত, সেই মামলাগুলো দ্রুত শেষ করতে হবে। এটাই আমার অনুরোধ এবং দাবি।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই বিএনপি ক্ষমতায় এসে আমাদের কত নেতা হত্যা করেছে। ২০১৩ সালে অগ্নিসন্ত্রাস করে আরও ভয়াবহ পরিবেশ তৈরি করেছে। এই অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে যারা জড়িত, সেই মামলাগুলো দ্রুত শেষ করতে হবে, এটাই আমার অনুরোধ। তাদের শাস্তি কেন দেরি হবে? আগে আন্ডারগ্রাউন্ডে ছিল, এখন আন্দোলনের সুযোগে সামনে এসেছে। তাদের মামলায় যেন তারা সাজা পায়। এটা আপনাদের কাছে আমার দাবি।’ তিনি বলেন, ‘আমি জানি একটি দাবি আছে, আইনজীবী ভবন করে দেওয়ার। আর্থিকভাবে যত স্বচ্ছলতা আসবে, ধীরে ধীরে সব জেলায় এটা করে দিতে পারব। তবে এখানে একটা শর্ত আছে, সেখানে আইনজীবীদের পক্ষ থেকেও ফান্ড থাকতে হবে। আপনারা একটা ফান্ড গঠন করেন। সেখান থেকে কিছু দেন, আমিও কিছু দেব।’ তিনি আরও বলেন, আমরা যারা আপনজন হারিয়েছি, এদেশের নাগরিক হিসেবে বিচার পাওয়া আমাদের অধিকার ছিল না। কিন্তু সে অধিকার থেকে আমাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। ইনডেমনিটি আইন জারি করে। শুধু ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়নি, জিয়াউর রহমান জনগণের ভোট চুরি করে নির্বাচন প্রক্রিয়া ধ্বংস করেছে। তার হ্যাঁ/না ভোট। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সংবিধান এবং মিলিটারি আইন ভঙ্গ করে নিজে সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এরপর দল গঠনের মধ্য দিয়ে জনগণের সঙ্গে কারচুপি করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা দেশের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে ছয় দফা দিয়েছিল। ছয় দফা যখন দিয়েছিল তখনও তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। বাংলাদেশের মানুষ গণঅভ্যুত্থান চালিয়ে জাতির পিতাকে উদ্ধার করেছিল। তিনি বারবার গ্রেপ্তার হয়েছেন, অনেক সময় তাকে সাজাও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি থেমে যান নাই। সত্তরের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার সত্ত্বে ও পাকিস্তানিরা বাঙ্গালিদের ক্ষমতায় আসতে দেবে না। জাতির পিতা জানতেন এবং তার প্রস্তুতিও ছিল। ২৫ মার্চ যখন পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী এ দেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর হামলা করে, সঙ্গে সঙ্গে জাতির পিতা শেখ মুজিব যুদ্ধের ঘোষণা দেন। এরপর সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অজানা স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। জাতির পিতা নির্দেশ ও আহ্বান সাড়া দিয়ে এদেশের মানুষ, যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রু মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিল তিনি আরও বলেন, ১৯৭২ সালে স্বাধীনতার দশ মাসের মধ্যে একটি সংবিধান তিনি উপহার দেন। সারা বিশ্বের কোন দেশ এত দ্রুত সংবিধান দিতে পারেন নাই। জাতির পিতার হাত ধরেই বাংলাদেশের বিচার কার্যক্রমের গোড়াপত্তন। যাযাদি/ এসএম
Published on: 2023-10-21 11:10:33.867366 +0200 CEST

------------ Previous News ------------