উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢল ও গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রামের চিলমারীতে সাড়ে ৪’শ হেক্টর জমির ধানের রোপনকৃত চারা তলিয়ে গেছে। এতে করে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কৃষকদের মাঝে।
সরেজমিন দেখাগেছে, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চাচলার বিল, দহবন্দ বিল, পেদি খাওয়া বিল, মন্ডলপাড়া বিল, সরকারপাড়া বিল, মাচাবান্দা বিলসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বিলের রোপনকৃত ধানের চারা তলিয়ে গেছে। খড়ার কারণে এসব বিলে সেচ পাম্পের সাহায্যে চারা লাগিয়েছিলেন কৃষকরা।
কিসামত বানু এলাকার আব্দুস সালাম, রাজারভিটা এলাকার মমেনা বেগম, জোড়গাছ এলাকার আব্দুর রহিম, হাসমত উল্যা বলেন, আমন মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি না হওয়ায় সেচ পাম্পের সাহায্যে ধানের চারা লাগিয়েছিলেন। উঠতি ধানের চারা পানির নিচে তলিয়ে আছে। পানি দ্রুত নেমে না গেলে তারা প্রত্যেকেই ক্ষতির মুখে পড়বেন।
একই কথা জানালেন, চাচলার বিল এলাকার জয়নাল, পেদিখাওয়া বিল এলাকার আব্দুল কাদের।
উপজেলা কৃষি অফিসসুত্রে জানাগেছে, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় ৮হাজার ২’শ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে চতুর্থ দফার বন্যায় সাড়ে ৪’শ হেক্টর আমন ধান পানির নিচে নিমজ্জিত হয়েছে। এছাড়াও ৪৫ হেক্টর সবজি খেত তলিয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রণয় বিষাণ দাস জানান, আমরা সার্বক্ষনিক খোঁজ খবর রাখছি। বন্যা পরবর্তী করণীয় সর্ম্পকে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
এদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে তীর বর্তি অঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস জানিয়েছে, ইতোমধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ১৮’শ ৫৭ পরিবার। ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টের গেজ রিডার জোবায়ের রহমান জনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ১ সে.মি. পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪১ সে.মি নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাফিউল আলম জানান, চলমান বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
যাযাদি/ এস
Published on: 2023-08-28 09:42:45.359081 +0200 CEST
------------ Previous News ------------