বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে একটি মর্টার শেল কুড়িয়ে পেয়েছে শিশুরা। ধারণা করা হচ্ছে, মর্টার শেলটি অবিস্ফোরিত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ঘুমধুম ইউনিয়নের নয়াপাড়া বিলে মর্টার শেলটি পাওয়া যায়।মর্টার শেলটি যেখানে পাওয়া যায়, সেখান থেকে মিয়ানমার সীমান্তের দূরত্ব মাত্র ১০০ মিটার। একটি সূত্র জানিয়েছে, এটি আরএল গোলা। এই গোলা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হতে পারে।ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আজ দুপুরে এলাকার বাচ্চারা লাকড়ি কুড়াতে গিয়ে মর্টার শেলটি পায়। এরপর তারা বস্তায় ভরে বসতবাড়ির কাছে নিয়ে আসে। এলাকার লোকজন মর্টার শেলটি দেখে ধারণা করেন যে এটি অবিস্ফোরিত। পরে খবর পেয়ে বিজিবি সদস্যরা সেটি তাঁদের হেফাজতে নেন। ঝুঁকি বিবেচনা করে বিজিবি মর্টার শেলটি বসতি এলাকা থেকে দূরে বিলের মধ্যে রেখেছে।আজ বেলা আড়াইটার দিকে সরেজমিন দেখা যায়, এশিয়ান হাইওয়ে থেকে পশ্চিম দিকে নয়াপাড়া গ্রামের সড়ক। সড়কটির শেষ অংশে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পাহারাঘর। পাহারাঘরের সামনে খোলা বিলের একটি অংশে মর্টার শেলটি লাল পতাকা দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। সংবাদকর্মী ও স্থানীয় মানুষকে মর্টার শেলটির কাছে যেতে বারণ করছেন বিজিবির চার সদস্য। ছবি তুলতেও বারণ করছেন তাঁরা।বিজিবি সদস্যদের একজন সাফায়েত হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এসে পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর মর্টার শেলটি সক্রিয় নাকি নিষ্ক্রিয়, তা জানাতে পারবে।নয়াপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ রিদুয়ান (২৪) ও ছৈয়দ আকবর (৪০) প্রথম আলোকে জানান, গতকাল বুধবার থেকে সীমান্তের ওপার থেকে আর মর্টার শেল নিক্ষেপ করা হয়নি। আজও পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ কারণে ধারণা করা হচ্ছে, গত মঙ্গলবার রাতে মর্টার শেলটি বিলে পড়ে। ওই রাতে প্রচুর গোলাগুলি ও ভারী গোলাবর্ষণ হয়। গোলাগুলির পরিস্থিতির কারণে সাধারণ মানুষ বিলটিতে যেতে পারেননি।
Published on: 2024-02-08 11:40:49.671691 +0100 CET
------------ Previous News ------------