প্রথম আলো
অফিস খুললেও চেনারূপে ফেরেনি ঢাকা, এখনো ছুটির আমেজ

অফিস খুললেও চেনারূপে ফেরেনি ঢাকা, এখনো ছুটির আমেজ

পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পয়লা বৈশাখের ছুটি শেষে আজ সোমবার সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে রাজধানীতে এখনো ঈদের আমেজ বিরাজ করছে। ফিরে আসেনি ঢাকার স্বাভাবিক কর্মচাঞ্চল্য। রাস্তায় নেই যানজট, মানুষের ভিড় ও ভোগান্তি। আজ সকাল থেকে ঢাকার মিরপুর, কল্যাণপুর, শ্যামলী, ধানমন্ডি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার ও শাহবাগ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি ও গণপরিবহনের সংখ্যা কম। এসব এলাকার অনেক বিপণিবিতান এখনো বন্ধ। সড়কের পাশের কিছু দোকানপাট খুলেছে। তবে সেগুলো প্রায় ক্রেতাশূন্য।অফিস-আদালতসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও ছুটির আমেজ দেখা গেছে। বেসরকারি চাকরিজীবী নুর উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, সাধারণ সময়ে যানজটের কারণে সকালে কল্যাণপুর থেকে শাহবাগ পৌঁছাতে কমপক্ষে এক থেকে সোয়া ঘণ্টা লেগে যায়। আজ তিনি ২২-২৩ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে গেছেন। এখনো ঢাকায় যানজট শুরু হয়নি। রাজধানীজুড়ে ঈদের মতোই একটা আমেজ আছে। এবার ঈদের ছুটি ছিল তুলনামূলক দীর্ঘ। ঈদের আগে ৭ এপ্রিল ছিল পবিত্র শবে কদরের ছুটি। এর আগের দুই দিন শুক্র ও শনিবার ছিল সাপ্তাহিক ছুটি। গত বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দেশে উদ্‌যাপিত হয় ঈদুল ফিতর। ঈদ উপলক্ষে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল (বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার) সরকারি ছুটি ছিল। ১৩ এপ্রিল শনিবার ছিল সাপ্তাহিক ছুটি। এর পরদিন গতকাল রোববার ছিল পয়লা বৈশাখের ছুটি।অনেকেই মাঝখানে ছুটি নিয়েছেন। এভাবে টানা ১০ দিনের ছুটি মিলিয়েছেন অনেকে। ছুটি শেষে আজ অফিস-আদালত খুলল। ঈদে প্রিয়জনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে নগরবাসীর একটি বড় অংশ গ্রামে যায়। তাই ঈদের সময় ঢাকা প্রায় ফাঁকা হয়ে যায়। ছুটির এই সময়ে ঢাকায় ছিল না যানজট। ছিল না মানুষের চাপ। মুঠোফোন অপারেটরদের তথ্য অনুযায়ী, ঈদের আগে চার দিনে (৬-৯ এপ্রিল) রাজধানী ছাড়েন ৫৭ লাখের মতো মুঠোফোন সিমধারী। এই হিসাবে এবার ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার কথা। গত বছর ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন উপলক্ষে (১৮-২২ এপ্রিল) এক কোটির বেশি সিমধারী ঢাকা ছেড়েছিলেন। পরিবহনবিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামানের ২০২৩ সালের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, গত বছরের ঈদুল ফিতরের আগের চার দিনে ঢাকা ছাড়েন ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ। সে হিসাবে ঈদের সময় প্রতিদিন গড়ে বাড়ি যান ৩০ লাখ মানুষ। কয়েকজন কর্মজীবী প্রথম আলোকে বলেন, ঈদের আমেজ কাটিয়ে ঢাকার পুরোপুরি স্বরূপে ফিরতে আরও সপ্তাহখানেক সময় লাগতে পারে। ঢাকার অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে ২১ এপ্রিল। এ ছাড়া অধিকাংশ পোশাক কারখানাও খুলবে ২০ এপ্রিলের দিকে। তখন ঢাকা স্বাভাবিকরূপে ফিরবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Published on: 2024-04-15 09:57:49.989744 +0200 CEST

------------ Previous News ------------