সময় নিউজ
কোরবানির আগে লবণ সিন্ডিকেট নিয়ে শঙ্কা

কোরবানির আগে লবণ সিন্ডিকেট নিয়ে শঙ্কা

বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় লবণ উৎপাদন এবছর ভালো হয়েছে। আছে পর্যাপ্ত মজুতও। ফলে ঈদুল আজহায় চামড়া খাতের প্রয়োজনীয় লবণের সংকট হবে না। তবে খাতের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বিটিএ’র শঙ্কা, লবণের সিন্ডিকেট নিয়ে। গত বছর ঈদুল আজহায় সারা দেশে প্রায় ১ কোটি ৪২ হাজার গবাদিপশু কোরবানি হয়। ধারণা করা হচ্ছে, সামনের ঈদে এ সংখ্যা আরও লাখ খানেক বাড়তে পারে। আর তা থেকেই সংগ্রহ করা হবে দেশের চামড়া শিল্পের অন্তত ৬০ শতাংশ কাঁচামাল। চামড়ার গুণগত মান ঠিক রাখতে ও পচন থেকে বাঁচাতে চামড়া ছাড়ানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেগুলোতে দিতে হয় পর্যাপ্ত লবণ। এ কারণে লবণকে বলা হয় চামড়ার প্রাণ। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, চলতি অর্থ বছর দেশে মোট লবণের চাহিদা ২৫ লাখ মেট্রিক টন। এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত দেশে লবণ উৎপাদন হয়েছে ১৭ লাখ মেট্রিক টনের বেশি। এ বছর বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় গত বছরের তুলনায় উৎপাদন ভালো হয়েছে। আর তাই সামনের ঈদে লবণ সংকটের আশঙ্কা নেই। বিসিকের লবণ সেল প্রধান সরোয়ার হোসেন বলেন, এবছরের আবহাওয়ার কারণে লবণের উৎপাদন অনেক ভালো হয়েছে। প্রতি বছর কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণে মাত্র এক লাখ মেট্রিক টন লবণের প্রয়োজন হয়। দেশে এখন পর্যন্ত ১২ লাখ ৩৮ হাজার মেট্রিক টন লবণ মজুত রয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী সব জেলাতেই এই লবণ মজুত থাকায়, কোরবানির সময় কোনো ধরনের ঘাটতি পড়ার আশঙ্কা নেই। তবে চামড়া শিল্পের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ টেনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ) বলছে, বাজারে সরবরাহ যথেষ্ট থাকলেও প্রতিবছর ঈদের আগে সক্রিয় হয়ে ওঠে একটি চক্র। কৃত্রিমভাবে সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়ে হাতিয়ে নেয় বাড়তি অর্থ। বিটিএ চেয়ারম্যান মো. শাহীন আহমেদ বলেন, কোরবানির আগে আগে একটি অসাধু সিন্ডিকেট মাথা চাড়া দিয়ে উঠে। এখনও লবণের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও, আগামী এক মাসের মধ্যে কেজিপ্রতি ৩ থেকে ৫ টাকা বাড়িয়ে দেয়ার জন্য ধান্দা করছে এই চক্র। তাই আগে থেকেই সরকারি তদারকি বাড়ালে বাজারের কৃত্রিম সংকট ঠেকানো সম্ভব বলে মনে করে সংগঠনটি।
Published on: 2024-04-27 18:30:46.864657 +0200 CEST