The Business Standard বাংলা
কাস্টমাইজড টি-শার্ট ব্যবসায় সফল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

কাস্টমাইজড টি-শার্ট ব্যবসায় সফল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

গত ৩০ জুলাই শেষ হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট। নক-আউট পদ্ধতির এ টুর্নামেন্ট শুরু থেকেই রূপ নিয়েছিলো উৎসবে। অন্য সব কিছুর মধ্যে যে বিষয়টি সবার নজর কেড়েছে আলাদাভাবে তা হলো, প্রত্যেকটি দলের সদস্যদের গায়ে স্বতন্ত্র রঙ ও ডিজাইনের ভিন্ন ভিন্ন জার্সি। সেসব জার্সি শুধু মাঠের খেলোয়াড়েরাই পরে আছেন তা নয়, মাঠের বাইরে ডিপার্টমেন্টের প্রায় সকল শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের গায়ে ওই এক পোশাক! শুধুমাত্র ঢাবির খেলার মাঠই নয়; বন্ধুদের ছোটখাটো গেট টুগেদার, অফিস পার্টি, ট্যুর কিংবা খেলাধুলা, কাস্টমাইজড জার্সি-টিশার্টের এই অনুষঙ্গটির দেখা পাওয়া যাচ্ছে সর্বত্র। একই ডিজাইন ও রঙের টি-শার্ট কিংবা জার্সি ছাড়া আজকাল কোন অনুষ্ঠানই যেন পূর্ণতা পাচ্ছে না। জন্মদিন কিংবা বিয়ের মত ঘরোয়া আয়োজনগুলোতেও এই রীতি চালু হয়ে গেছে ইতোমধ্যে। আর তাতেই তৈরি পোশাক শিল্পের বাজারে শক্তপোক্তভাবে জায়গা করে নিয়েছে কাস্টমাইজড জার্সি ও টি-শার্ট ব্যবসা। বিভিন্ন ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রধান জায়গা যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলো, তাই প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীও ইতোমধ্যে যুক্ত হয়েছেন টি-শার্ট ব্যবসার সঙ্গে। প্রায় প্রত্যেক ক্যাম্পাসেই শিক্ষার্থীদের হাতে গড়ে উঠেছে এমন অগণিত প্রতিষ্ঠান, যারা নিয়মিতভাবে কাস্টমাইজড জার্সি ও টি-শার্ট সরবারহ করে যাচ্ছেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। তাদের কাজ ক্যাম্পাসের গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে, এমনকি, বিদেশেও। *ক্যাম্পাসই ব্যবসার মূল কেন্দ্র* কাস্টমাইজড টি-শার্টের চাহিদা অনেকে বুঝলেও ছাত্রজীবনে ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ার সাহস সবার থাকে না। তবে প্রথম বর্ষেই সেরকম সাহসের পরিচয় দিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী তানজিম খান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরপরই করোনা মহামারি শুরু হয়। বন্ধ হয়ে যায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অন্য সবার মত তাকেও ফিরে যেতে হয় গ্রামের বাড়িতে। সেসময় এক কোচিং সেন্টারে ক্লাস করিয়ে যে অল্প কিছু অর্থ উপার্জন করেছিলেন, তা দিয়ে কিছু একটা করার তাড়নায় মহামারির মধ্যেই চলে আসেন ঢাকায়। বড় ভাইদের পরামর্শে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন মৌসুমি ফল বিক্রি শুরু করেন। এরপর পাইকারি দরে টি-শার্ট কিনে সেগুলো খুচরাভাবে বিক্রি এবং এক পর্যায়ে কাস্টমাইজড জার্সি, টি-শার্ট বানানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় তার বর্তমান ব্যবসা। সেই শুরু, তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয় নি। এ ব্যবসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সবচেয়ে আস্থা অর্জন করেছে যেসব প্রতিষ্ঠান, তার মধ্যে অন্যতম তার প্রতিষ্ঠিত 'দোকান'। "প্রথম যখন আম বিক্রি করতাম, সবাই আম-ব্যবসায়ী বলতো। তারপর যখন দেখলো পোশাক ব্যবসা বড় হচ্ছে, তখন তাদের সাপোর্ট পেয়েছি। আমার পরিবার, বড় ভাই সবাই সাহায্য করেছে," জানালেন তানজিম। তানজিমের মতো প্রায় একই গল্প 'জার্সি টং' এর সত্ত্বাধিকারী মারুফ হাসানের। শুধু তারা দুজনই নন, শুরুটা প্রায় সব শিক্ষার্থীরই একই রকম। এসব শিক্ষার্থী প্রথমে যখন কাজ শুরু করেছিলেন, খুব সহজ ছিল না সে পথ। পরিবার, বন্ধুদের পূর্ণ সমর্থন পান নি অনেকেই। সমর্থন থাকলেও শুরু করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। কেউ কেউ শুরু করে টিকে থাকতে পারেন নি। তবে যারা লেগে ছিলেন শুরু থেকে, তারা এখন দেখেছেন সফলতার মুখ। শুরু করার পর অবশ্য খুব বেশি বেগ পেতে হয় না ব্যবসায়ীদের। যা দরকার হয়, তা হলো কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়। নানা উৎসব আর অনুষ্ঠান আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই করে দেয় বাকিটা। এই যেমন সদ্য শেষ হওয়া আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টে একাই ১২টি ডিপার্টমেন্টের জার্সি বানিয়েছেন মারুফ হাসান। এইবারের টুর্নামেন্ট কথা না হয় বাদই দেয়া গেলো, এর আগেও অসংখ্য ইভেন্টের জন্য টি-শার্ট জার্সি তৈরি করেছেন বলে জানালেন তিনি। "সবগুলোর হিসেব তো নেই, তবে দুইশটির অধিক ইভেন্টে আমি কাস্টমাইজড জার্সি, টি-শার্ট তৈরি করেছি।" ২০১৯ সালে কাজ শুরু করার পর কাজের চাপ সবসময়ই ছিলো তানজিমের। তবে বিশেষ কোন টুর্নামেন্ট কিংবা বার্ষিক উৎসবগুলোতে কাজের চাপ সবচেয়ে বেশি থাকে। এছাড়াও শীতকাল, বিশেষ করে যখন নতুন কোন ব্যাচ আসে বিশ্ববিদ্যালয়ে, তখনও অনেক ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। *প্রযুক্তির নাম 'সাবলিমেশন'* কাস্টমাইজড জার্সি, টি-শার্ট ব্যবসায় গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইন যেমন করতে হয়, তাদের পছন্দ মোতাবেক সেসব ডিজাইন আবার ফুটিয়ে তুলতে হয় পোশাকে। এজন্য একইসাথে দরকার হয় দক্ষ কারিগর ও উন্নত প্রযুক্তির। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মোখলেশুর রহমানের শুরু থেকে চাকরির চেয়ে ব্যবসাতেই ঝোঁক ছিল বেশি। নিজের পড়াশোনার খরচ বাড়ি থেকে আনতে চাননি কখনো। কিছু একটা করার চিন্তা থেকেই যুক্ত হয়েছিলেন এই ব্যবসার সাথে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন ইভেন্টে কাস্টমাইজড টি-শার্ট তৈরি করে দেন তিনি। শুরুতে তার কাছে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিলো গুণাগুণ বুঝে কাচামাল সংগ্রহের বিষয়টি। তবে টি-শার্ট বানানো ও ডিজাইন করানো, সবই তিনি করেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। কাস্টমাইজড টি-শার্ট ব্যবসার মূল বিষয়ট হলো ডিজাইন। গ্রাহকের নির্দেশনা অনুযায়ী ডিজাইন তৈরি করাই থাকে মূল লক্ষ্য। এজন্য দরকার হয় দক্ষ ডিজাইনারের। এ ডিজাইন টি-শার্টে ফুটিয়ে তুলতে ব্যবহার করা হয় সাবলিমেশন প্রযুক্তি। হিট প্রেস মেশিনের সাহায্য সাবলিমেশন পেপারে প্রিন্ট দিয়ে টি-শার্টে ডিজাইন বসিয়ে দেওয়া হয়। ব্যবসা বড় হয়ে উঠলে নিজেদের কারখানা ও প্রিন্টার কিনে ফেলেন অনেক শিক্ষার্থী। তবে বেশিরভাগই অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজগুলো করিয়ে নেন। এর ফলে নিজেদের কারখানা ছাড়াই ব্যবসাটি পরিচালনা করতে পারছেন তারা। *ধরা দিয়েছে সাফল্য* নিজের ও পরিবারের আর্থিক অবস্থার উন্নতির জন্যই তারা শুরু করেছিলেন ব্যবসা। প্রাথমিক বাধাবিঘ্ন কাটিয়ে সাফল্যের মুখ দেখতে খুব বেশি দেরি করতে হয়নি। মোখলেছুর রহমান নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারকেও সাহায্য করছেন নিজের ব্যবসা থেকে প্রাপ্ত আয় দিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অন্যতম প্রধান আয়ের উৎস টিউশন। কিন্তু নানা শর্ত মেনে টিউশন পাওয়া অনেকটা সোনার হরিণ পাওয়ার মত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাসের পর মাস খুঁজেও অনেকসময় টিউশন পাননি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম। আয়ের পরিমাণটা না বললেও, জানালেন টি-শার্ট ব্যবসা তার সে আক্ষেপ পুরোটাই ঘোচাতে সক্ষম হয়েছে। ঠিক এমনটাই বললেন ঢাবি শিক্ষার্থী তানজিম খানও। "আমি টিউশন করতাম আগে। যে পরিমাণ সময় নষ্ট হতো, আয় কিন্তু সেরকম হতো না। এখন ব্যবসায় যুক্ত হওয়ার কারণে আমার সময় অনুযায়ী ভালো প্রফিট থাকে। মাসিক খরচ চালানোর পর  জমানোর জন্যও কিছুও থাকে। যখন সিজন থাকে, তখন বেশ ভালো আয় করি।" *ক্যাম্পাসের গণ্ডি পেরিয়ে দেশের বাইরে…* তাসনিমুল ইসলামের বড় ভাই তামিমুল ইসলাম ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় আর্চারি দলের সদস্য। ভাইয়ের বন্ধু রবিউল ইসলামের প্রস্তাবে রাজি হয়ে তারা শুরু করেছিলেন কাস্টমাইজড জার্সি তৈরির কাজ। ক্রীড়া জগতে তাদের এই জানাশোনাকে কাজে লাগিয়ে মাত্র তিন মাসেই বেশ বড় ধরনের ব্যবসা দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছেন তারা। এখন তাই নিয়মিত বিরতিতে পার করতে হচ্ছে কর্মব্যস্ত সময়। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অর্ডার তো রয়েছেই, দেশের বিভিন্ন নামকরা ক্লাব ও ক্রীড়া সংগঠন তাদের নিয়মিত কাস্টমারে পরিণত হয়েছে। এরমধ্যেই তারা জার্সি তৈরি করে পাঠিয়েছেন দেশের বাইরে। সম্প্রতি মালদ্বীপ জাতীয় ক্রিকেট দলের জন্য জার্সি বানিয়েছেন তারা। আন্তর্জাতিক এসব কাজের কথা বলতে গিয়ে বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন তাসনিমুল। "রিসেন্টলি দুবাইতে ১০০০ পিস জার্সির অর্ডার পেয়েছি। ওখানকার বিখ্যাত আর্চারি ক্লাব আল মাদাম এ যাবে জার্সিগুলো। ওখানকার কোচ সরাসরি এসেছিলেন বাংলাদেশে, দেখেশুনে অর্ডার দিয়ে গিয়েছেন। দুবাই, মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া থেকে অর্ডার আসে অনেক। আর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তো আসেই," বলছিলেন তিনি। সর্বশেষ বিশ্বকাপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল সমর্থন সাড়া জাগায় ফুটবল বিশ্বে। স্বয়ং আর্জেন্টিনা ফুটবল এসোসিয়েশন ফেসবুকে বাংলাদেশের ছবি পোস্ট করে প্রশংসা করে এ সমর্থনের। যে ছবিগুলো সেদিন পোস্ট করা হয়েছিল, সে ছবিতে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন একদল শিক্ষার্থী, যাদের পরিধানের জার্সিগুলো ছিলো 'দোকান' এর তৈরি। প্রতিষ্ঠানের মালিক তানজিম খানের কণ্ঠে শোনা গেলো এমনই গৌরবের কথা। এদিকে 'জার্সি টং' এর বয়স প্রায় পাঁচ বছর। ইতোমধ্যে অসংখ্য টি-শার্ট, জার্সি তারা বিদেশে পাঠিয়েছেন। শুধু তাসনিমুল কিংবা তানজিমই নন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কাজ শুরু করা অনেকেই এখন টি-শার্ট পাঠাচ্ছেন বিদেশে। বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের খ্যাতি এক্ষেত্রে বেশ সাহায্য করছে তাদের। অল্প খরচে ভালো মানের পণ্য পাওয়া যায় বলে বিদেশি ক্রেতাদের চাহিদাও বাড়ছে দিন দিন, যা বেশ ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন এসব ব্যবসায়ী শিক্ষার্থীরা। *তবে সবার আগে পড়াশোনা* শিক্ষা জীবনে ব্যবসায় জড়িত হওয়া কি লেখাপড়ার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে? যখন মৌসুম চলে, তখন অনেক বেশি সময় দিতে হয় বলে পড়াশোনার ওপর কিছুটা প্রভাব পড়ে বলেই মনে করেন অনেক ব্যবসায়ী। তবে সবার আগে শিক্ষাজীবন কৃতিত্বের সাথে শেষ করা উচিত, এটা মানেন সকলেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক ও মাস্টার'দা সূর্যসেন হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মাদ জাকির হোসেন ভূঁইয়া শিক্ষার্থীদের ব্যবসায় জড়িত হওয়াকে দেখেন ইতিবাচক ভাবে। তবে তিনিও মনে করেন, লেখাপড়াই হওয়া উচিত শিক্ষার্থীদের প্রাধান্যের বিষয়। "আমরা শিক্ষার্থীদের বলি যে শুধু চাকরি না করে তোমরা উদ্যোক্তা হও। একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি শিল্পোৎপাদন কীভাবে করা হয়, সেই শিক্ষা আমরা কাগজে কলমে দিয়ে থাকি। আমরা উৎসাহিত করি যেন অন্যভাবেও (চাকরি ছাড়াও) দেশের অর্থনীতিতে তারা অবদান রাখে," বলেন তিনি। তবে ব্যবসার কাজে যে বাড়তি সময়টুকু দেওয়ার প্রয়োজন হয়, পরবর্তীতে পরিশ্রম করে তা পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন বলে জানালেন শিক্ষার্থীরা। *ব্যবসা নিয়ে রয়েছে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা* চাকরির পেছনে ছোটা-কে অনর্থক বলে মনে করেন ব্যবসায়ী শিক্ষার্থীদের অনেকে। সৎভাবে ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে ব্যবসাকেই প্রাধান্য দেওয়ার চিন্তা অনেকের। "বাংলাদেশ একটা উন্নয়নশীল দেশ, নতুন নতুন কাজের ক্ষেত্র সৃষ্টি হচ্ছে। আমি মনে করি যার প্যাশন আছে, সে যেন চাকরির পেছনে না ছুটে ব্যবসায় মনোযোগ দেয়," বললেন তানজিম খান। ভবিষ্যতে স্বপ্ন আছে বড় কারখানা তৈরি করে নিজের মত করে জার্সি উৎপাদন করার। তানজিমের মতো নিজেদের ব্যবসাকে বড় করার স্বপ্ন বাকিরাও দেখেন। আবার সমাজ-বাস্তবতার চাপ অস্বীকার করেন না তারা। 'জার্সি টং' এত এত সাফল্য পেলেও বাস্তবতা মেনেই কথা বললেন মারুফ হাসান। "শিক্ষার্থীদের ব্যবসায় মনোনিবেশ করা উচিত তখনই যখন পরিবার, সমাজ সাপোর্ট করে, আর্থিক সামর্থ্য থাকে। আপনার আর্থিক, মেন্টাল সাপোর্ট লাগবে, শুধু পরিশ্রম দিয়ে হবে না। এর সাথে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায়ও পর্যাপ্ত সাপোর্ট থাকতে হবে, ব্যবসার পরিবেশ থাকতে হবে," বলেন তিনি।
Published on: 2023-08-14 08:54:03.942436 +0200 CEST

------------ Previous News ------------