কালের কণ্ঠ
‘নদী দূষণমুক্ত করতে সরকার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে’

‘নদী দূষণমুক্ত করতে সরকার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে’

ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেছেন, নদী দূষণমুক্ত করতে সরকার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। দ্রুতই তার বাস্তবায়ন দেখতে পাব। প্রধানমন্ত্রী নদী রক্ষায় আন্তরিক বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, ঢাকায় আগে যেসব খাল ছিল, তা নেই। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি হচ্ছে। ট্যানারি সরানোর পরও দূষণ কমেনি। তিনি বলেন, আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ আয়োজিত ‘প্রস্তাবিত নাগরিক সুপারিশ : নদী সুরক্ষায় রাজনৈতিক অঙ্গীকারের গুরুত্ব’ শীর্ষক নাগরিক সংলাপে এ কথা বলেন তিনি। ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ের সমন্বয়ক শরীফ জামিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও পরিবেশ আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ দূষণ ও দখলমুক্ত করে নদীর প্রাণ ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান। তারা নদী রক্ষায় রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবি জানান। একইসঙ্গে রাজধানীর পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখার জন্য সমন্বিত পদক্ষেপের আহ্বান জানান। সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার বলেন, সরকার সব জায়গায় কাজ করতে সচেষ্ট রয়েছে। নদী রক্ষা ও ইলিশ সংরক্ষণসহ পরিবেশ সুরক্ষায় ব্যাপক কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু জনপ্রতিনিধিদের সুপারিশে অযোগ্যদের বিভিন্ন জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। ফলে কাঙ্খিত সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। তাই সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সচেতন হতে হবে। ইউএসএইড বাংলাদেশ ের ডিআরজি অফিস ডিরেক্টর অ্যালেনা ট্যানসি বলেন, ঢাকার চারপাশের নদীগুলো দুষণ ও দখলমুক্ত করা খুবই জরুরি। নদী পাড়ের ফ্যাক্টরিগুলো নদী দূষণ করছে। যদিও সুশীল সমাজ ও জনগণ সবাই দূষণের বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করছে, যা ঢাকার দূষণ ও পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমেরিকার জনগণ এই ভালো কাজে সবসময় পাশে থাকবে। সমাপনী বক্তব্যে শরীফ জামিল বলেন, বুড়িগঙ্গা অনেক বড় একটি নদী ছিল, যা বর্তমানে সরু খাল হয়ে এসেছে। দখল ও দূষণের কারণে নদ-নদীগুলো এখন অস্তিত্ব সংকটে। কিন্তু আশার কথা, ঢাকা শহর ও তার আশেপাশের নদী সুরক্ষায় সরকার ৫০টি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্পগুলো জনসম্পৃক্ততা ও জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিপ্রফলন দেখতে চাই। এই আলোচনায় আরো অংশ নেন কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের চিফ অব পার্টি কেটি ক্রোক, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএসএস)-এর নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা এ খান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনর ৫৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. নূরে আলম, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের বিরবেক স্কুল অব লর সহযোগী প্রভাষক মোহাম্মদ গোলাম সারওয়ার, ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোস্তফা আলমগীর রতন, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ আলী, ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী মুক্তি, রিভার বাংলা সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের নির্বাহী পরিচালক ক্যামেলিয়া চৌধুরী, সচেতন নাগরিক সমাজ সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর মোহাম্মদ আদেল, নিরাপদ চিকিৎসা চাই-এর সাধারণ সম্পাদক উম্মে সালমা, বারোগ্রাম উন্নয়ন সংস্থার সদস্য জান্নাতি আক্তার রুমা, তুরাগ নদী মোর্চার ঘাট শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আমজাদ আলী লাল, ওয়াটারকিপার্সের প্রকল্প সমন্বয়কারী সৈয়দ তাপস প্রমূখ।
Published on: 2024-04-27 15:29:26.926329 +0200 CEST